বান্দরবানে হামলা চালানোর কারণ নিয়ে কুকি-চিনের বিবৃতি

দেশের তিন পার্বত্য জেলায় আতঙ্কের নাম কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। সম্প্রতি বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি ব্রাঞ্চে নজিরবিহীন ডাকাতির ঘটনা ঘটায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটি। এরপর থেকেই কেএনএফকে নিয়ে পাহাড়ে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে প্রথমবার মুখ খুললো বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। বিবৃতিতে ব্যাংক ও থানায় হামলা চালানোর কারণ জানিয়েছে তারা।

কেএনএফের বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে, দু’পক্ষের মধ্যে প্রথম মুখোমুখি সংলাপের বৈঠকে স্বাক্ষরিত শর্ত অনুযায়ী কাজ করেনি সরকার।

সংগঠনটির অভিযোগ, বন্দিদের (যারা কেএনএফের সদস্য নয় এবং নিরীহ গ্রামবাসী) এক মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চার-পাঁচ মাস পরেও তাদের মুক্তি দেওয়া হয়নি। কেবল আর্মি ক্যাম্প থেকে বন্দি মেয়েটিকে (জেলে থাকা অবস্থায় যার গর্ভপাত হয়েছিল) মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

যে ক্যাম্পগুলো সরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল, সেগুলো সরানো হয়নি। বরং সেখানে ক্যাম্প ও চেকপোস্ট বসিয়ে নিরীহ মানুষকে প্রতিনিয়ত হয়রানি করা হচ্ছে।

রুমা সেনানিবাসের অধীন সানসাং পাড়া ক্যাম্পে দুই নিরীহ লোক নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় দ্বিতীয় শান্তি আলোচনাতেও সরকারি প্রতিনিধি ও শান্তি কমিটি কোনো উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছে।